বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা (১-৪ খন্ড একত্রে) (হার্ডকভার)
বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা (১-৪ খন্ড একত্রে) (হার্ডকভার)
৳ ১০৪৭   ৳ ৮৯০
১৫% ছাড়
1 টি Stock এ আছে
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা 
বিজ্ঞানীদের জীবনীর কথা শুনলেই মনে হয় খটোমটো কিছু একটা, চোখে মোটা চশমাওয়ালা খুব প্রচণ্ড পড়ুয়া কারও কাহিনি, সারা জীবন ধরে যে বইয়ে নাক গুঁজে কাটিয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের জীবনটা আসলে মোটেও সে রকম নয়, বরং বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীদের জীবনে অসাধারণ, মজার, অভাবনীয় সব ঘটনা ঘটেছে। এই ব্যাপারটা লেখক শৈশবেই জানতে পারেন।
এই ঘটনাগুলোর কথা লেখক ভুলতেই বসেছিলেন প্রায়, কিন্তু ভুলতে দিল না তার ছেলে যায়ান। যায়ানের বয়স মাত্র সাত, কিন্তু এখনই ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিজ্ঞানীদের গল্প শোনার জন্য প্রচণ্ড আগ্রহ, প্রতিদিন অন্তত দুজন বিজ্ঞানীর ওপরে কোনো মজার গল্প না শুনলে ঘুমাতে চায় না সে। ওকে প্রতিদিন বিজ্ঞানীদের আর গণিতবিদদের গল্প বলতে গিয়ে লেখক স্মৃতির তথ্যভান্ডারের সিন্দুকটা খুলে আবার ফিরে যান সেই বিজ্ঞানীদের নানা গল্পের জগতে।
লেখক যায়ানকে বলেন, আইনস্টাইন, নিউটন, আর্কিমিডিস, মারি কুরি, এডিসনের গল্প, লেখকের সেই ছোটবেলার এবং এখনকারও সব স্বপ্নের নায়কদের কথা, যাদের প্রতিভা, আবিষ্কারের নেশা আর জ্ঞানের পিপাসা বিশ্বকে পাল্টে দিয়েছে চিরদিনের জন্য। এই গল্পগুলো বলতে বলতেই তার মনে হলো, আগামী প্রজন্মের জন্য এগুলো লিখে রাখা বড়ই দরকার। টিভি, ফেসবুক, সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে আমাদের শিশুরা কাদের নিয়ে ভাববে, কাদের কাহিনি শুনে অনুপ্রাণিত হবে? বিজ্ঞান মজার, বিজ্ঞান আনন্দের, বিজ্ঞানীরাও মজার মানুষ...

বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা ২
বিজ্ঞান আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। আর এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমেই মানুষ প্রকৃতিকে করেছে জয়, অসম্ভবকে করেছে সম্ভব। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে তাই বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের অবদান বিশাল। কিন্তু এই বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে একটা ভুল ধারণা আছে সবার মধ্যে—বিজ্ঞানীরা জটিল ও নিরস সব বিষয় নিয়ে কাজ করেন। ব্যাপারটা আসলে তা না, বিজ্ঞানীরা আমাদের সবার মতোই মানুষ, হাসি কান্না আনন্দ বেদনায় তাদের জীবন। এই গ্রন্থের লেখক রাগিব হাসান শৈশবে পড়েছিলেন আবদুল্লাহ-আল-মূতী শরফুদ্দিনের লেখা আবিষ্কারের নেশায় বইটি। তার পেশা ও নেশা হিসেবে বিজ্ঞানকে বেছে নেওয়ার পেছনে সেই বইটির ভূমিকা অপরিসীম।
লেখকের সন্তান যায়ান ও রিনীতা যোয়ীকে রূপকথার বদলে তিনি বিজ্ঞানীদের জীবনের অসাধারণ সব গল্প শোনান— যা অনেক ক্ষেত্রে রূপকথাকেও হার মানায়। প্রতিদিন, প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ওদের গল্প শোনাতে শোনাতে লেখকের মনে হলো, এই গল্পগুলো সবার জানা দরকার। সেই চিন্তা থেকেই ২০১৮ সালের বইমেলায় বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানার ১ম খণ্ডটি লিখেছিলেন। লেখক ভেবেছেন, অল্প কয়েকজন শিশুকেও যদি বিজ্ঞানের অপার সৌন্দর্যের আলোয় উদ্বুব্ধ করতে পারা যায় তবে তার সার্থকতা। কিন্তু লেখককে অবাক করে দিয়ে প্রচুর শিশুকিশোর, তরুণ-তরুণী বইটি পড়েছে, তারা বিজ্ঞানী ও গণিতবিদদের জীবনের কথা জেনেছে, রোল মডেল হিসেবে বেছে নিয়েছে সেই বিজ্ঞানীদের। উৎসাহের সাথে তারা সেসব কথা লেখককে জানিয়েছে। তাই বাকি অনেক বিজ্ঞানীর জীবনী নিয়ে প্রকাশিত হলো বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা সিরিজের দ্বিতীয় বইটি।

বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা ৩
মানবসভ্যতার ইতিহাসের ধারায় এই জগতে আমাদের টিকে থাকা, আমাদের সাফল্য, এসব কিছুর পিছনেই আছে বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের অবদান। বিজ্ঞানের আলোকিত জয়যাত্রার মাধ্যমেই আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা প্রতিকূলতাকে জয় করতে পেরেছি, উদঘাটন করেছি প্রকৃতির অমোঘ রহস্যকে। বিশ্বমানচিত্রে অবস্থান করে নিতে হলে এই বিজ্ঞানকে জানতে হবে, বুঝতে হবে, এবং জীবনের অংশ হিসাবে গ্রহন করতে হবে। বিজ্ঞানীদের গল্পটা বলা তাই জরুরি। বিজ্ঞানীরা আমাদের মতোই মানুষ -- তাঁরা নিজেদের জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত জয় করে জনকল্যাণে বিজ্ঞানের বড় বড় আবিষ্কার ও উদ্ভাবন করেছেন। এই বিজ্ঞানীদের গল্প আমার সন্তান যায়ান আর যোয়ীকে প্রতিদিন ঘুম পাড়াবার সময়ে শোনাই -- কিন্তু এই গল্পগুলো আরো বহু শিশুর কাছে পৌছে দেয়ার আগ্রহ থেকেই এই সিরিজের বইগুলো লেখা। আগের দুই খণ্ড প্রকাশিত হবার পরে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি আগামী প্রজন্মের কাছ থেকে। তাই এবারে নিয়ে এসেছি আরো ১৫টি গল্প। এই গল্পগুলো আসলে বিশ্বের চেহারা পাল্টে দেয়া সব আবিষ্কার ও তার সাথে জড়িত বিজ্ঞানীদেরই গল্প। এবারের খণ্ডে থাকছে নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক আলফ্রেড নোবেলের সৌভাগ্যময় দুর্ঘটনার মাধ্যমে ডাইনামাইট আবিষ্কারের কাহিনী। আরো থাকছে জীনতত্ত্ব ও বংশগতির জনক গ্রেগর মেন্ডেলের কথা, থাকছে খামখেয়ালি কিন্তু প্রখর মেধাবী গণিতবিদ পল আরডিশের উদ্ভট ও মজাদার গল্প, বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত বিড়ালটির কথা, কিংবা রকেটের মাধ্যমে মহাকাশযুগের সূচনাকারী রবার্ট গডার্ডের অধ্যবসায়ের কাহিনী। আর আমাদের নিজেদের দেশের গর্ব ডঃ ফজলুর রহমান খানের সেই অভূতপূর্ব আবিষ্কারের গল্পটাও বলছি। বলেছি নোবেলজয়ী আবদুস সালাম, ভেলক্রোর স্রষ্টা দ্য মেস্ট্রাল ও তার কুকুরের কথা। মহাবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের ছেলেবেলার গল্প, তাঁর পিএইচডি থিসিসের মজার ঘটনা, তাও আছে এখানে। গ্রিক দার্শনিক পিথাগোরাস কিংবা বাঙালি গণিতবিদ রাধানাথ শিকদার, কবুতর পোষা বিজ্ঞানী কাসিমির ফাংক, প্রথম মোটরগাড়ির সড়ক ভ্রমণ, আর অন্ধজনে আলো এনে দেয়া ব্রেইল লিপির ইতিহাস লিখেছি। আর বইটা শেষ করেছি হলিউডের বিশ্বসুন্দরী চিত্রনায়িকা হেডি লামারের যুগান্তকারী উদ্ভাবনের অসাধারণ কাহিনীটা দিয়ে। গতবারের মতো এই বইটি লেখার পেছনেও যায়ান বাবা ও রিনীতা যোয়ী মামণির গল্প শোনার তীব্র নেশা কাজ করেছে, আর সেই সাথে তাদের অসাধারণ মা জারিয়াকেও জানাচ্ছি অনেক কৃতজ্ঞতা -- দুই কৌতুহলী শিশুর দুরন্তপনাকে বিজ্ঞানের দিকে ধাবিত করাতে তাঁর অবদান সবার উপরে। বইটি উৎসর্গ করেছি আমার সব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য। বিজ্ঞানের অপার সুন্দর আলো আসুক সব শিশুর জীবনে, আর বিজ্ঞানের জগতে সবার অভিয়াত্রা হোক শুভ।

বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা ৪
বিজ্ঞানের মাঝে রয়েছে অনেক মজার কাহিনি। এই বইটা বিজ্ঞানের সেই সব গল্প নিয়েই লেখা। লেখকের সন্তান কৌতূহলী দুই শিশু যায়ান আর যোয়ী ঘুমাতে যাবার আগে প্রতিদিন আবদার করে বিজ্ঞানের গল্প শোনার। কম্পিউটার বিজ্ঞানী বাবা তাদের যে গল্প শোনান, সেই গল্পগুলোকেই সবার কাছে পৌঁছে দিতে চান এই সিরিজের মাধ্যমে। আগের তিনটি খণ্ডের মতো এই খণ্ডেও থাকছে ১১টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গল্প।
এই গল্পগুলো বিজ্ঞানের, এই কাহিনিগুলো বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কারের পিছনে থাকা মানুষদের। এই খণ্ডের গল্পগুলোতে আছেন অ্যালজেব্রার জনক মুহাম্মদ ইব্ন মুসা আল খারিজমি, কুইনাইন আবিষ্কার করা নাম না জানা এক আদিবাসী, মজার এক ঘটনা থেকে স্যাকারিনের আবিষ্কারক ফাহলবার্গ। আরও আছেন এক্স-রের আবিষ্কারক রন্টগেন আর কালাজ্বরের চিকিৎসার উদ্ভাবক বাঙালি বিজ্ঞানী উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী, আকাশজয়ী রাইট ভ্রাতৃদ্বয় আর মহাকাশের প্রাচীন এক মায়াডাকের রহস্যভেদ করা বিজ্ঞানী পেঞ্জিয়াস ও উইলসন। বইটার শেষের দুইটা বড় কাহিনি হলো করোনা ভাইরাসকে জয় করা কয়েকজন মানুষকে নিয়ে।
এবারের খণ্ডটা তাই নানাদিক থেকে বিজ্ঞান ও গণিতের অগ্রযাত্রার জয়গাথা। লেখকের আশা, বিজ্ঞানীদের এই গল্পগুলো পড়ে বহু শিশু, কিশোর-কিশোরী, বা তরুণ-তরুণী বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হবেন, দেশে তৈরি হবেন আরও অনেক বিজ্ঞানী, যারা গড়ে তুলবেন এদেশকে, এ বিশ্বকে।

Title : বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা (১-৪ খন্ড একত্রে)
Author : রাগিব হাসান
Publisher : আদর্শ
Number of Pages : 495
Country : Bangladesh
Language : Bengali

রাগিব হাসানের পৈতৃক বাড়ি জামালপুরে, তবে সরকারি কর্মকর্তা ও স্কুলশিক্ষিকা মায়ের এই মেধাবী সন্তানটির জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। মেধার স্বাক্ষর রেখেছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে। পরবর্তীতে ভর্তি হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগে, এবং সর্বোচ্চ মার্কস নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া প্রতিটি বিভাগে ভালো ফলাফলের কারণে পেয়েছিলেন গোল্ড মেডেলও। বুয়েটে কিছুদিন শিক্ষকতা করে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়ে ছুটে গিয়েছিলেন স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে, এবং এখান থেকেই তিনি পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তিনি একাধারে শিক্ষক এবং বিজ্ঞানী, তবে তার আগ্রহের মূল বিষয় কম্পিউটার কৌশল। এর তাড়নায় কম্পিউটার নিরাপত্তা ও ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে গবেষণা করছেন সিক্রেটল্যাব নামের একটি গবেষণাগার প্রতিষ্ঠানে। এছাড়াও তিনি উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ চ্যাপ্ট্যারের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বর্তমানে তিনি সপরিবারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্মিংহামে বসবাস করছেন, কিন্তু বাংলার সাথে ঠিকই সম্পর্ক বাঁচিয়ে রেখেছেন তার বইগুলোর মাধ্যমে। রাগিব হাসান এর বই মানেই সহজ ভাষায় কঠিন জ্ঞানের কথা। তিনি মূলত লেখেন প্রবন্ধ। রাগিব হাসান এর বই সমূহ এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো ‘বিজ্ঞানীদের কান্ডকারখানা’, ‘গবেষণায় হাতেখড়ি’, ‘মন প্রকৌশল স্বপ্ন অনুপ্রেরণা আর জীবন গড়ার ফরমুলা’, ‘বিদ্যাকৌশল: লেখাপড়ায় সাফল্যের সহজ ফরমুলা’ প্রভৃতি। রাগিব হাসান এর বই সমগ্র এর পাশাপাশি তার ব্লগিংও বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের উপকার করছে। তার নিজের ভাষ্যমতে- শিক্ষকতা তার পেশা ও নেশা। তার শিক্ষা তিনি ছড়িয়ে দিতে চান বিশ্বব্যাপী। তাই অনলাইন শিক্ষাদান ওয়েবসাইট শিক্ষক ডট কম গড়ে তুলেছেন। তার এ উদ্যোগ ২০১৩ সালে গুগলের ‘রাইজ’ পুরস্কার লাভ করে। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উচ্চশিক্ষার প্রচলন করতে চান তিনি। এছাড়াও গবেষণাকর্মে পারদর্শিতার জন্য ‘ক্যারিয়ার’ পুরস্কার লাভ করেন ২০১৪ সালে।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]